সংবাদচর্চা রিপোর্ট: ডাকসুর সাবেক ভিপি ঐক্যফ্রন্টের প্রার্থী সুলতান মোহাম্মদ মনসুর আহমদ কুলাউড়া থানার তিনি এস.আই কে গণধোলাই দিয়েছেন। তারা হলেন- এসআই জহিরুল ইসলাম তালুকদার, রিয়াদুল ইসলাম, নিরঞ্জন ইসলাম।
সোমবার দুপুরে ধানের শীষের মোটরসাইকেল শোভাযাত্রায় পুলিশ বাধা দিলে সুলতান মনসুর গাড়ি থেকে নেমে এসআই জহিরুল ইসলাম তালুকদারের গালে চড় থাপ্পড় মেরে চিৎকার করে বলতে থাকেন আমি কে আমাকে কি চিনিস না? এ সময় সুলতান মনসুরের হাতে অপর দুইজন এস আই রিয়াদুল ইসলাম, নিরঞ্জন ইসলাম আহত হন।
জানা গেছে, সোমবার বেলা আড়াইটায় সুলতান মোহাম্মদ মনসুর, নওয়াব আলী আব্বাছ খাঁন ও রাউৎগাঁও ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আব্দুল জলিল জামাল এর নেতৃত্বে বিএনপি ও তার অঙ্গসংগঠনের নেতাকর্মীরা উপজেলার রাউৎগাঁও ইউনিয়নের লালপুর এলাকায় ধানের শীষের সমর্থনে মোটরসাইকেল শোডাউন নিয়ে বের হয়। এ সময় পুলিশ শোডাউনে বাধা দিলে সুলতান মনসুরের সমর্থকরা ৭টি মোটরসাইকেল ভাঙচুর করে। এলাকায় তখন আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করতে ব্যর্থ হলেও বিজিবির হস্তক্ষেপে পরিস্থিতি শান্ত হয়। পরে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করতে বিজিবি ঘটনাস্থলে যায়। আহত পুলিশ সদস্যরা বর্তমানে কুলাউড়া হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।
কুলাউড়া থানার এস আই জহিরুল ইসলাম তালুকদার বলেন, সুলতান মনসুর স্যার ও তার পিএস বিষয়টি মিটমাট করার জন্য আমাকে অনুরোধ করেন। আমি বলেছি স্যার আমি আমার দায়িত্ব পালন করতেছি। তখন তিনি বলেন, জহির নির্বাচনের পর তোমাকে মৌলভীবাজার জেলায় রেখে দিব।
এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত কুলাউড়া থানায় কোনো মামলা হয়নি। তবে কুলাউড়া থানার অফিসার ইনচার্জ মো. শামীম মূসা জানিয়েছেন, এ বিষয়ে থানায় মামলা দায়ের করা হবে।
এ বিষয়ে সুলতান মোহাম্মদ মনসুর আহমদের সাথে মুঠোফোনে আলাপ করলে তিনি জানান, আমি গণসংযোগ ও প্রচারণায় ব্যস্ত আছি। আমি এসব কিছুই জানি না।